Day: October 10, 2021

ইউএস-বাংলার টিকিটে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন জিপি গ্রাহকরা

ইউএস-বাংলা ও গ্রামীণফোনের মধ্যে চুক্তি সই

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও স্থানীয় টেলিযোগাযোগ সংস্থা গ্রামীণফোন লিমিটেডের (জিপি) মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম এবং গ্রামীণফোনের লয়্যালটি ম্যানেজমেন্টের প্রধান হাসান আহমেদ তৌহিদ নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, এ চুক্তি অনুযায়ী, জিপি স্টার ও গ্রামীণফোনের পোস্টপেইড গ্রাহকরা আগামী ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত এয়ার টিকিটের মূল ভাড়ার ওপর (ওয়ানওয়ে ও রিটার্ন) বিজনেস ও ইকোনমি ক্লাসে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। অফারটি সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য (ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল) প্রযোজ্য।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলরুবা পারভীন ও সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ম্যানেজার মাইনুল হক এবং গ্রামীণফোনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লয়্যালটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের লিড স্পেশালিস্ট মো. ফজলে রাব্বি।

অফারটি বাংলাদেশে অবস্থিত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সব সেলস অফিস থেকে পাওয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

https://www.dhakapost.com/aviation/67587

১৯ নভেম্বর থেকে ইউএস-বাংলার মালদ্বীপ ফ্লাইট, ভাড়া ২৯ হাজার

আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে দশম আন্তর্জাতিক গন্তব্য মালদ্বীপের রাজধানী মালে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ঢাকা-মালে রুটে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে তিনদিন সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সটি।

বুধবার (৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য মালদ্বীপের রাজধানী মালে-তে প্রতি মঙ্গল, শুক্র ও রোববার একমাত্র এয়ারলাইন্স হিসেবে ইউএস-বাংলা সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে।

এয়ারলাইন্সটি জানায়, বাংলাদেশি যাত্রীদের সময় ও খরচকে প্রাধান্য দিয়ে ইউএস-বাংলা প্রতি মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বেলা ১১টা ১০ মিনিট মালদ্বীপের রাজধানী মালের উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে এবং স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে মালেতে অবতরণ করবে। একই দিন বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে মালে থেকে উড্ডয়ন করে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে। প্রতি শুক্রবার ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট মালের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মালেতে অবতরণ করবে। একই দিন বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে মালে থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে। এছাড়া প্রতি রোববার ঢাকা থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট মালের উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে এবং স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মালেতে অবতরণ করবে। একই দিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে মালে থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা-মালে রুটে সব প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ২৯ হাজার ৫০৮ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ৪৫ হাজার ৫৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।   

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশি পর্যটক ও মালদ্বীপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে মালদ্বীপে বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স হিসেবে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দু’দেশের বন্ধনকে আরও বেশি সুদৃঢ় করবে। এছাড়া দু’দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও বেশি গতিশীল করে তুলবে।

১৯ নভেম্বর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা থেকে মালে ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ সহ মোট ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।

বর্তমানে মধ্যপ্রচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই, মাস্কাট, দোহা, বাংলাদেশি অধ্যুষিত কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, প্রতিবেশি দেশ ভারতের চেন্নাই এবং চীনের অন্যতম গন্তব্য গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। করোনা মহামারিতে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে কলকাতা ও ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খুব শিগগিরই কলম্বো, জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের। 

আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সব রুট বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। 

https://www.dhakapost.com/aviation/67307

ঢাকা-মালে ফ্লাইটের অপেক্ষায় প্রবাসীরা

মালদ্বীপের রাজধানী মালে। ছোট্ট এই দ্বীপ শহরের অলি-গলিতে বহু বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। কাজের ফাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে তারা নিজেদের মধ্যে আড্ডা-আলোচনায় মেতে উঠেন। বর্তমানে তাদের আলোচনার অন্যতম বিষয় ঢাকা-মালের ফ্লাইট। নভেম্বর থেকে এই রুটে ফ্লাইট চালু করবে দেশের অন্যতম শীর্ষ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ কাভার করতে মালদ্বীপ যাওয়া সাংবাদিকদের পেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎফুল্ল দেখা গেছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দল নিয়ে প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়া জানানোর পর সবারই কৌতুহলী প্রশ্ন, ‘ভাই, কবে ইউএস-বাংলার ঢাকা-মালে ফ্লাইট চালু হবে। সপ্তাহে কয়দিন যাবে, ভাড়া কত হতে পারে।’
 
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপেই প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশের রেমিট্যান্সের একটি অংশও আসে এই দেশ থেকে। মালদ্বীপে লাখের বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী থাকলেও দেশি কোনো এয়ারলাইন্স নেই ঢাকা-মালে রুটে। 

দেশি এয়ারলাইন্স না থাকায় অসুবিধার কথা এভাবে বর্ণনা করলেন এক দশকের বেশি সময় মালেতে থাকা হারুনুর রশিদ, ‘অন্য এয়ারলাইন্স তাদের চাহিদা মতো ভাড়া নির্ধারণ করে। ফলে আমরা যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, তারা অনেক সময় ছুটিতে দেশে ফিরতে মন চাইলেও পারি না, চড়া দামের টিকিটের জন্য। বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স থাকলে আমাদের জন্য টিকিট অনেক সাশ্রয়ী হতো’। 

করোনার সময় টিকিটের দাম অনেক সময় ৭০০-৮০০ ডলারও স্পর্শ করেছে। এত টাকা খরচ হবে বলে দেশে যাওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেকে।

হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শাহাদাত অবশ্য দেশি এয়ারলাইন্সের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন আরেক কারণে, ‘এখানে আমরা যারা কাজ বা ব্যবসা করি অধিকাংশই একাই থাকি, পরিবার থাকে দেশে। অনেকের বাবা-মা, ভাই-বোন বৃদ্ধ। সরাসরি ফ্লাইট না থাকার কারণে আমার অনেক সময় পরিবারের কেউ মারা গেলে বা জরুরি কাজে যেকোনো সময় যেতে পারি না। এটা আমাদের খুব বড় কষ্টের। দেশি এয়ারলাইন্স থাকলে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করতে সুবিধা হবে।’

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-মালে ফ্লাইট শুরু করবে। তাদের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন মালের বাংলাদেশি প্রবাসীরা। বিক্রয়কর্মী হিসেবে দোকানে কর্মরত আল আমিন ইউএস-বাংলার ফ্লাইট সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের একটা প্রাণের দাবি ছিল এই রুটে দেশীয় এয়ারলাইন্স চালু করা। শুনেছি নভেম্বরে ঢাকা-মালে রুটে ইউএস-বাংলা ফ্লাইট শুরু করবে। এটা শুরু হলে আমরা খুবই উপকৃত হব। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই ফ্লাইট আশা করছি সবাই বেছে নেবে।’ 

বর্তমানে মালে-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালাচ্ছে মালদ্বীপের মালদ্বীপিয়ান এয়ারলাইন্স। সপ্তাহে চার দিন চলে তাদের ফ্লাইট। মাঝে তিন দিন ছিল। জরুরি প্রয়োজনে অনেক সময় মালে আসতে অথবা ঢাকা ফিরতে প্রবাসীদের কলম্বো, দোহা ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে সময়ের পাশাপাশি অর্থও ব্যয় হয় অনেক। 

ইউএস-বাংলার ফ্লাইট চালু হলে আর্থিক সাশ্রয় ছাড়াও আরেকটি প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন আল আমিন। তিনি বলেন, ‘এখানে কষ্টে অর্থ রোজগার করি। দেশে ফিরতে ও দেশ থেকে আসতে সেই অর্থ অন্য দেশের এয়ারলাইন্সকে দিতে হয়। নিজের অর্জিত অর্থ নিজের দেশের এয়ারলাইন্সকে দিতে চাই। এটাও অনেক তৃপ্তির।’

বাংলাদেশিরা ভ্রমণপ্রিয়। অনেক ভ্রমণপিপাসু ফ্লাইট জটিলতার কারণে মালদ্বীপ ভ্রমণে আসেন না। ইউএস-বাংলার ফ্লাইট চালু হলে মালদ্বীপের পর্যটনে বাংলাদেশিদের সংখ্যা আরও বাড়বে। বাংলাদেশি পর্যটকরা মালদ্বীপ গেলে প্রবাসীরাও উপকৃত হবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশীয় ফ্লাইট চালু হলে অনেকে এখানে ঘুরতে আসবেন। ফলে আমরা যারা হোটেল ও অন্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারাও নানাভাবে উপকৃত হব।’

উন্নয়ন ও কূটনীতির অন্যতম মাধ্যম যোগাযোগ। ইউএস-বাংলার ঢাকা-মালে রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছে মালের বাংলাদেশ দূতাবাসও। দূতাবাস কর্মকর্তাদের মন্তব্য, ‘বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করলে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও সম্পর্ক আরও বাড়বে। বিশেষত মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসীরা দারুণভাবে উপকৃত হবেন।’

https://www.dhakapost.com/aviation/65804

কার্গো প্লেন কেনার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ

নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশের বিখ্যাত পণ্যগুলো যাতে সাশ্রয়ীভাবে বিদেশে রফতানি করা যায় সেজন্য কার্গো প্লেন কিনবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) যশোর বিমানবন্দরে যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটের ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় আমরা এভিয়েশন খাতে অনেক দূর এগিয়েছি। এবার আমরা স্পেশাল কার্গো প্লেন কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা নিজস্ব কার্গো প্লেনের মাধ্যমে কম খরচে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, যশোরের ফুল, রাজশাহীর আমের মতো বিখ্যাত সব খাদ্যপণ্য বিদেশে রফতানি করব। কার্গো প্লেন কেনার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি।

দেশের পর্যটন উন্নয়নের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের সুন্দরবনে কয়েকটি দেশের ক্রুজ শিপ পর্যটন নিয়ে কাজ করতে চায়। আমরা এরইমধ্যে বুয়েটকে দিয়ে সুন্দরবনে একটি জরিপ শুরু করেছি। জরিপে কোন কোন স্পটে ক্রুজ শিপগুলো থামতে পারে সেই তথ্যগুলো উঠে আসবে। জরিপের ফল পেলে আমরা পরে কীভাবে এগুলো নিয়ে কাজ করা যায় সেদিকে এগোবো।

অনুষ্ঠানে যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি, যশোর ও ঝিনাইদহর সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা যশোর থেকে সরাসরি কলকাতা ফ্লাইট চালুর অনুরোধ করেন।

এবিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবার দাবি যশোরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করে ভারতের কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করা হোক। আমরা বর্তমানে কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে উন্নত ও সম্প্রসারণের কাজ করছি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল তৈরির কাজ চলছে। ঢাকার পাশাপাশি আমরা চট্টগ্রাম ও সিলেটকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করেছি। ভবিষ্যতে যশোর বিমানবন্দরকেও আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার কাজ করব।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ফিতা কেটে যশোর-চট্টগ্রাম ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন। তিনি এয়ারক্রাফটে ঢুকে যাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

https://www.dhakapost.com/aviation/65784

যশোর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দ্বার খুলল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বিমানবন্দর থেকে এই দুই রুটের ফ্লাইট উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

নতুন রুটে ফ্লাইট উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ফ্লাইট চালু করেছে। যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ব্যবসা, পর্যটন ও শিল্প সম্প্রসারণ করতে এই ফ্লাইটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা চাই বাংলাদেশের এয়ারলাইনসগুলো এভাবেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর সব দেশে বাংলাদেশের পতাকা বহন করে ফ্লাইট পরিচালনা করুক।

মাহবুব আলী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ। ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিগত ১০ বছরে যাত্রী এবং কার্গো পরিবহন প্রায় ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। এভিয়েশন সেক্টরের বিপুল প্রবৃদ্ধির এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

অনুষ্ঠানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৪ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মাত্র ১৫০ জন স্টাফ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এয়ারলাইন্সটির বহরে ১৪টি নতুন এয়ারক্রাফট রয়েছে। আমরা এয়ারলাইন্সটির পরিধি আরও বড় করব। আগামী ২ বছরের মধ্যে আরও ১৬টি ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট ক্রয় করে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ফিতা কেটে যশোর-চট্টগ্রাম রুটের ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন। এয়ারক্রাফটে ঢুকে যাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, আনোয়ারুল আজিম আনার, মো. নাসির উদ্দিন, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শাফকাত আলী, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার প্রমুখ। 

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার যশোর থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে এবং একই দিন বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যশোরের উদ্দেশে যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। 

শনি, সোম, বুধ ও শুক্রবার যশোর থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশে এবং কক্সবাজার থেকে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে যশোরের উদ্দেশে যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।  

সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ যশোর থেকে চট্টগ্রামে ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,০০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১২,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যশোর থেকে কক্সবাজারে ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,৫০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১৩,০০০ টাকা; সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রামের ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,২০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১২,৪০০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।  

খুব শিগগিরই সৈয়দপুর থেকে কক্সবাজার এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউএস-বাংলা। 

ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের বিমান বহরে ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৩টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০।