Author: usbamedia

৯ম বছরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

বহরে ১৬ এয়ারক্রাফট নিয়ে উড়ছে ১৯ গন্তব্যে

করোনা মহামারি পরবর্তী বাংলাদেশের আকাশপথকে সচল রাখতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা অতিক্রম করেছে সাফল্যগাঁথা আটটি বছর। রোববার (১৭ জুলাই) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ৯ম বর্ষে পদার্পণ করছে।

১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে ইউএস-বাংলা ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রা শুরু করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সব বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে স্বল্পতম সময়ে আকাশপথের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করেছে ইউএস-বাংলা। 

অভ্যন্তরীণ রুট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, বরিশাল, রাজশাহীতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইউএস-বাংলা যাত্রা শুরুর দু’বছরের মধ্যে ১৫ মে ২০১৬ তারিখে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলে। ইউএস-বাংলার আন্তর্জাতিক রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে- কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাস্কাট, দোহা, দুবাই, শারজাহ, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু। 

নিকট ভবিষ্যতে জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম, মদিনা, আবুধাবি, দিল্লি রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। চলতি বছর ইউএস-বাংলার বিমান বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৩টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের মধ্যে লন্ডন, রোম, আমস্টারডাম-সহ ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য ও ২০২৫ সালের মধ্যে নিউইয়র্ক ও টরেন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে মোট ১৬টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৩টি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট আছে। যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশের বেশি অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে ইউএস-বাংলার। 

যাত্রীসেবায় অনন্য নজির স্থাপন করায় ইউএস-বাংলা দেশীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে যাত্রীদের কাছে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশে-বিদেশে বর্তমানে প্রায় ১৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে ইউএস-বাংলার। যা দেশের বেকার সমস্যা সমাধানেও কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া নিয়মিত ট্যাক্স-সারচার্জ পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে করছে আরো সুদৃঢ়।

ইউএস-বাংলার টিকিট সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস সুবিধা। রয়েছে হোম ডেলিভারির সুবিধা। দেশে এবং দেশের বাইরে নিজস্ব ৪০টির বেশি সেলস্ অফিস রয়েছে। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য রয়েছে ‘স্কাইস্টার’। যার মাধ্যমে শুধু টিকিটেই সুবিধা থাকছে না, বরং যাত্রীরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয়ে ডিসকাউন্ট সুবিধাও পেয়ে থাকেন। 

স্বাধীনতার পর ইউএস-বাংলা-ই একমাত্র দেশীয় বিমান সংস্থা যা, চীনের কোনো গন্তব্যে বা ভারতের চেন্নাই কিংবা মালদ্বীপের রাজধানী মালে-তে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যাত্রীদেরকে বেশ কয়েকটি স্পেশাল সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা, যা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এভিয়েশন শিল্পে। উল্লেখযোগ্য সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের পর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে লাগেজ ডেলিভারি। “আপনি লাগেজের জন্য অপেক্ষা করবেন না বরং লাগেজ আপনার জন্য অপেক্ষা করবে”- এই ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই ইউএস-বাংলা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ২০ শতাংশ মূল্যছাড়সহ রয়েছে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা। 

ইউএস-বাংলা শুধু যাত্রীই পরিবহন করে না, সঙ্গে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্গোও পরিবহন করে থাকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউএস-বাংলা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ খেলাধুলার উন্নয়নের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে আছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন নবম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। বর্তমান বিশ্বে যাত্রীদের সঠিক সেবা দেওয়ার জন্য ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফটের কোনো বিকল্প নেই। ইউএস-বাংলা যাত্রীদের আরামদায়ক সেবাকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এয়ারক্রাফট বহরে যুক্ত করে চলেছে। ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ রুটে ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইনশাআল্লাহ নিকট ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক রুটেও ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করবে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে ইউএস-বাংলা পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।’

নবম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে তিনি আরো বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সাফল্যে ভরা আট বছরের সঙ্গে যেসব সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন কর্পোরেট অফিস, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিক, সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের সবার প্রতি ইউএস-বাংলা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

২৬ মার্চ থেকে প্রতিদিন কলকাতা যাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

আগামী ২৬ মার্চ থেকে সপ্তাহে প্রতিদিন ঢাকা থেকে ভারতের কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর এ রুটে এতোদিন বাংলাদেশ ও ভারতের এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় সপ্তাহে দুইটি করে ফ্লাইট চলাচল করতো সংস্থাটির।

শুক্রবার (১১ মার্চ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদার কারণে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কলকাতায় ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই রুটে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে ৬টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৭টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফটসহ মোট ১৬টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।

কলকাতা ছাড়াও আন্তর্জাতিক রুট চেন্নাই, মালে, শারজাহ, দুবাই, মাস্কাট, দোহা, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, গুয়াংজু-তে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। খুব শিগগিরই কোভিডের কারণে স্থগিত গন্তব্য ব্যাংককে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে কলম্বো, দিল্লি, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম, মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ সব গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যেকোনো গন্তব্যের টিকিট সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- ১৩৬০৫ অথবা ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ নম্বরে।

প্রথমবারের মতো মালদ্বীপের পথে উড়ল ইউএস-বাংলা

দশম আন্তর্জাতিক গন্তব্য হিসেবে মালদ্বীপের রাজধানী মালে-তে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

শুক্রবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মালদ্বীপগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটটির উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর মাধ্যমে ইউএস-বাংলা আকাশ পথে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। তাদের এই ফ্লাইটের মাধ্যমে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশে শ্রমিকরা সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। দুই দেশের নাগরিকদের যাত্রা হবে সহজ ও আরামদায়ক। দুই দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসারে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কখনো থেমে থাকেনি। অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি তারা নতুন নতুন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে উড়ছে। আশা করছি সংস্থাটি তাদের সক্ষমতার মাধ্যমে দেশের এভিয়েশন খাতের যাত্রীদের একটি বড় অংশ বহন করে দেশীয় এয়ারলাইন্স শিল্পের প্রবৃদ্ধি ঘটাবে।

দেশের বিমান সংস্থাগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ইউএস-বাংলাসহ সবাইকে অনুরোধ করছি, আপনারা মালদ্বীপের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় প্যাকেজ বানান। এই উদ্যোগ দেশের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশে মালদ্বীপের হাই কমিশনার শিরুজিমাথ সামির, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।

এ সময় মালদ্বীপের হাই কমিশনার শিরুজিমাথ সামির বলেন, ইউএস-বাংলা দ্বিতীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে মালেতে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করল। করোনার প্রকোপের মধ্যেও এটি তাদের অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। মালদ্বীপ খুবই চমৎকার একটি রাষ্ট্র। আমি চাই ইউএস-বাংলা সাশ্রয়ী প্যাকেজ দিয়ে বাংলাদেশিদের মালদ্বীপ যাওয়ার সুযোগ করে দেবে।

ইউএস-বাংলার এমডি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমানে মালদ্বীপে যাতায়াত করা ৯০ ভাগ যাত্রীই শ্রমিক। বাকি ১০ ভাগ ব্যবসায়ী। আমার শ্রমিক ভাইয়েরা এতদিন ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে মালদ্বীপের ওয়ানওয়ে টিকেট কাটতেন। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এখন তাদের সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকায় ওয়ানওয়ে টিকেট দেবে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।

তিনি বলেন, আমরা জানি, যখন কোনো বিদেশি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের যাত্রীদের বহন করে তখন আমাদের দেশের টাকা বিদেশে চলে যায়। এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে ইউএস-বাংলা ফরেন কারেন্সি রিটেইন করবে।

প্রাথমিকভাবে ৩টি ফ্লাইট চললেও পর্যায়ক্রমে এই রুটে সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইট চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশের কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মালেতে ফ্লাইট পরিচালনা করল। এর আগে ২০০৮-০৯ সালে এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল বেস্ট এয়ার।

ঢাকা-মালে রুটে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে তিনদিন সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতি মঙ্গলবার, শুক্রবার ও রোববার ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হবে।

মঙ্গলবারের ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে উড্ডয়ন করবে। স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে মালেতে অবতরণ করবে এটি। একই দিন বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে মালে থেকে উড্ডয়ন করে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে।

শুক্রবারের ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মালেতে অবতরণ করবে। একই দিন বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে মালে থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।

এছাড়া প্রতি রোববার ঢাকা থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে উড্ডয়ন করবে এবং স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মালেতে অবতরণ করবে। একই দিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে মালে থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

এই রুটে সব ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ২৯ হাজার ৫০৮ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ৪৫ হাজার ৫৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে মালদ্বীপে বাংলাদেশি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দুই দেশের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এছাড়া দুই দেশের পর্যটন শিল্পও আরও গতিশীল হবে এ উদ্যোগের ফলে।

বর্তমানে দুবাই, মাস্কাট, দোহা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, চেন্নাই ও চীনের গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। করোনা মহামারিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে কলকাতা ও ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। খুব শিগগিরই কলম্বো, জেদ্দা, রিয়াদ ও দাম্মাম রুটে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।

আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সব রুট বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। এছাড়া যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা।

https://www.dhakapost.com/aviation/77765

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সেলফ চেক-ইন চালু করছে ইউএস-বাংলা

যাত্রীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সেলফ চেক-ইন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে বিমানবন্দরে এই সেবা চালু করবে তারা।

সোমবার (১ নভ্ম্বের) সন্ধ্যায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলোতে সেলফ চেক-ইন করার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশে সেলফ চেক-ইনের কোনো সুযোগ নেই। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শিগগিরই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সেলফ চেক-ইন এর ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে, যা ইউএস-বাংলার এগিয়ে যাওয়ার নিদর্শন। 

তিনি আরও বলেন, ইউএস-বাংলা তাদের ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ারদের জন্য ঢাকায় আলাদা চেক-ইন কাউন্টারের ব্যবস্থা করেছে। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটি বিমানবন্দরে স্কাইস্টার গ্রাহকদের জন্য আলাদা চেক-ইন কাউন্টার করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলে ইউএস-বাংলার পরিধি তুলে ধরে কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে ক্রস কান্ট্রি ধারণা থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যশোর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং উত্তরবঙ্গের একমাত্র সচল বিমানবন্দর সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। শিগগিরই সৈয়দপুর থেকে কক্সবাজার, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার রুটেও ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এসব ফ্লাইটের কারণে যাত্রীদের সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটকে আরো বেশী শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন রুট ও ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর পরিকল্পনার সঙ্গে চলতি বছরের শেষে এবং আগামী বছরের শুরুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের বহরে আরো তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৪টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট বহরে যোগ করতে যাচ্ছে।

করোনাকালে ইউএস-বাংলার কার্যক্রম তুলে ধরে কামরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অনেক বিখ্যাত এয়ারলাইন্স কোভিড-১৯ এর সময় এয়ারলাইন্সকে টিকিয়ে রাখার জন্য কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। কিন্তু ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্মীদের নিজের পরিবারে রেখে দেওয়ার মানসিকতা দেখিয়েছে। সব কর্মীদের বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টেস্ট করতে সহযোগিতা করেছে।

সেলফ চেক-ইন কি

বিমানবন্দরের চেক-ইন কাউন্টারে লাইনে না দাঁড়িয়েই স্বয়ংক্রিয় মেশিনে টিকিটের তথ্য দিয়ে বোর্ডিং পাস নেওয়া, আসন বেছে নেওয়া, লাগেজ জমা দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো সেরে নেওয়া যাবে সেলফ চেক-ইনে। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের উন্নত দেশ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের এয়ারলাইন্সগুলো গ্রাহকদের জন্য সেলফ চেক-ইন ব্যবস্থা রেখেছে। করোনাকালে কারো সংস্পর্শে না এসে চেক-ইন করার এই সেবা অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

গ্রাহকরা ফ্লাইটের নির্দিষ্ট সময় আগে অ্যাপে অথবা বিমানবন্দরে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপের মাধ্যমে সেলফ চেক-ইন করতে পারবেন।

সেলফ চেক-ইন করার জন্য একজন যাত্রীকে তার নাম, পাসপোর্ট এবং টিকিটের নম্বর মেশিনে ইনপুট দিতে হবে। এরপর যাত্রী নিজেই নিজের আসন বেছে নেবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে যাত্রীর বোর্ডিং পাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রিন্ট হয়ে যাবে। এরপর লাগেজ জমা দিয়ে ইমিগ্রেশন করতে পারবেন যাত্রী।

https://www.dhakapost.com/aviation/73573

২০২২ সালে কলম্বো জেদ্দা মদিনা, ২০২৩ এ নিউইয়র্ক যাবে ইউএস-বাংলা

আগামী বছরের শুরুতে (২০২২) শ্রীলঙ্কার কলম্বো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এছাড়া সৌদি আরবের জেদ্দা, দাম্মাম, মদিনা, রিয়াদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ও আবুধাবিতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।

সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি বেসরকারি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ২০২২ সাল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং বছর। আমরা গত আট বছরের অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে এ বছর নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলংকার কলম্বোতে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া একই বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নতুন অনেক গন্তব্যে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে ইউএস-বাংলার। এ লক্ষ্যে আগামী বছর এয়ারলাইন্সটির বহরে তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৪টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হতে যাচ্ছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী বছরের মধ্যে যদি বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন ক্যাটাগরি-ওয়ান অর্জন করতে পারে তাহলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য বিশেষ করে লন্ডন, আমস্টারডাম, রোম, প্যারিসসহ বেশ কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের বহরে আরো ৮টি এয়ারবাস, ৩২১-এলআর সিরিজের এয়ারক্রাফট যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনা পরিস্থিতি নিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া দুবাই, দোহা, মাস্কাট, এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর ও চীনের গুয়াংজুতে স্বল্প পরিসরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আশা করছি শিগগিরই ব্যাংকক রুটেও ফ্লাইট শুরু হবে। 

করোনাকালে সারা বিশ্বের আকাশপথ যখন স্থবির ছিল তখনকার দিনে ইউএস-বাংলার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে ইউএস-বাংলা দুবাই, আবুধাবি, দিল্লি, চেন্নাই, মালে, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, হ্যানয়, এমনকি ফ্রান্সের প্যারিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৫০টির বেশি স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। কোভিড মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ সরকার তথা সিভিল এভিয়েশন অথরিটির অনুমতি নিয়ে ইউএস-বাংলা প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফটগুলোকে সাময়িকভাবে কার্গো এয়ারক্রাফটে রূপান্তর করে আয়ের পথকে কিছুটা সচল রাখার চেষ্টা করেছে।

দেশের এভিয়েশন ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো। বিশেষ করে অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, জেট ফুয়েল প্রাইসকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরূপণ করা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো গঠনমূলক লেখনির মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। 

বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ১৪টি উড়োজাহাজ রয়েছে।

https://www.dhakapost.com/aviation/73557