যশোর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দ্বার খুলল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

যশোর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দ্বার খুলল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বিমানবন্দর থেকে এই দুই রুটের ফ্লাইট উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

নতুন রুটে ফ্লাইট উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ফ্লাইট চালু করেছে। যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ব্যবসা, পর্যটন ও শিল্প সম্প্রসারণ করতে এই ফ্লাইটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা চাই বাংলাদেশের এয়ারলাইনসগুলো এভাবেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর সব দেশে বাংলাদেশের পতাকা বহন করে ফ্লাইট পরিচালনা করুক।

মাহবুব আলী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ। ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিগত ১০ বছরে যাত্রী এবং কার্গো পরিবহন প্রায় ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। এভিয়েশন সেক্টরের বিপুল প্রবৃদ্ধির এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

অনুষ্ঠানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৪ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মাত্র ১৫০ জন স্টাফ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এয়ারলাইন্সটির বহরে ১৪টি নতুন এয়ারক্রাফট রয়েছে। আমরা এয়ারলাইন্সটির পরিধি আরও বড় করব। আগামী ২ বছরের মধ্যে আরও ১৬টি ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট ক্রয় করে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ফিতা কেটে যশোর-চট্টগ্রাম রুটের ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন। এয়ারক্রাফটে ঢুকে যাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, আনোয়ারুল আজিম আনার, মো. নাসির উদ্দিন, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শাফকাত আলী, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার প্রমুখ। 

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার যশোর থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে এবং একই দিন বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যশোরের উদ্দেশে যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। 

শনি, সোম, বুধ ও শুক্রবার যশোর থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশে এবং কক্সবাজার থেকে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে যশোরের উদ্দেশে যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।  

সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ যশোর থেকে চট্টগ্রামে ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,০০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১২,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যশোর থেকে কক্সবাজারে ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,৫০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১৩,০০০ টাকা; সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রামের ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৬,২০০ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১২,৪০০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।  

খুব শিগগিরই সৈয়দপুর থেকে কক্সবাজার এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউএস-বাংলা। 

ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের বিমান বহরে ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৩টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০।

বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনে স্বপ্নসারথি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

আকাশ পরিবহনে নানাবিধ স্বপ্নকে সাথে নিয়ে আর আকাশ পথের যাত্রীদের নানাবিধ স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। 

একসময় বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল, দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কাজ শেষ করে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে ইউএস-বাংলার হাত ধরে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থ ও সময়কে সাশ্রয় করার জন্য আর বাংলার মানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে সময়ের অপেক্ষায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা প্রতিবেশী দেশগুলো ভ্রমণে সবসময়ই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম পর্যটন শহর মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ভ্রমণ করার প্রগাঢ় ইচ্ছা থাকার পরও বাংলাদেশি কোনো এয়ারলাইন্স সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা না করায় এতদিন পর্যন্ত ভ্রমণের ইচ্ছেটাকে অনেকটা সুপ্ত অবস্থায় রেখেছিলেন দেশীয় পর্যটকরা। সেই ইচ্ছেটাকে জাগ্রত করতে এগিয়ে এসেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। 

আগামী নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ঢাকা-মালে রুটে সপ্তাহে চারদিন সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সেই সঙ্গে মালদ্বীপের বিভিন্ন শহরে অবস্থানকারী লক্ষাধিক বাংলাদেশির নিজ দেশের উড়োজাহাজে ভ্রমণের স্বপ্নকেও বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা।

স্বাধীনতার পর প্রায় ৪৭ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনে বিচরণকারী বিভিন্ন বিমান সংস্থা চীনের কোনো প্রদেশে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারেনি। বিগত দিনে চীনে ফ্লাইট পরিচালনায় সব এয়ারলাইন্স স্বপ্ন দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের যাত্রীদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী, পর্যটক ও চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া যাত্রীরা নিজ দেশের এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলায় ভ্রমণের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে।

প্রতিবছর লাখো বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করে থাকেন। এর বড় একটা অংশ চেন্নাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণ করে। বিগত দিনে কখনোই কোনো বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের ভ্রমণকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করার জন্য ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে চেন্নাইয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনাও করেনি, বাস্তবতাতো ভিন্ন বিষয়। 

বাংলাদেশ থেকে কলকাতা হয়ে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করে চেন্নাইয়ে ভ্রমণ করতে হতো, ফলে বাংলাদেশি চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীদের ভোগান্তির শিকার হতে হতো। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি চেন্নাইয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে চিকিৎসাসেবার জন্য ভ্রমণকারীদের নানাবিধ কষ্ট ও দুঃস্বপ্নকে দূরে ঠেলেছে; যা এখন একটি আকর্ষণীয় রুট হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশি যাত্রীদের কাছে। 

আকাশপথের ভ্রমণ মানেই ফ্লাইট সিডিউল বজায় না থাকা। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে লাগেজ প্রাপ্তিতে বিলম্ব। আকাশ পথের যাত্রীদের জন্য এগুলো নিত্যনৈমতিক বিষয় হয়ে যাচ্ছিল। সেখান থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রায় ৯০% এর বেশি অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড বজায় রেখে সাত বছর শেষ করে অষ্টম বছরে পদার্পণ করেছে। 

আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ফ্লাইট অবতরণ করার পর ১৫ মিনিটের মধ্যেই লাগেজ বেল্টে প্রথম লাগেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ইউএস-বাংলা। যার ধারাবাহিকতা অন্য এয়ারলাইন্সের যাত্রীরাও ভোগ করছে। যাত্রীদের লাগেজের বিষয়ে ইউএস-বাংলার বক্তব্য হচ্ছে ‘লাগেজের জন্য আপনি অপেক্ষা করবেন না, লাগেজ আপনার জন্য অপেক্ষা করবে।’ 

বাংলাদেশের যাত্রীদের একসময় স্বপ্ন চিল অভ্যন্তরীণ রুটে ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফটে ভ্রমণের। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রুটে ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এয়াররক্রাফট দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। যাত্রীদের স্বপ্ন পূরণে সারথী হয়ে আছে ইউএস-বাংলা।

মো. কামরুল ইসলাম ।। মহাব্যবস্থাপক- জনসংযোগ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

https://www.dhakapost.com/aviation/62945

ঢাকা-মালে ফ্লাইট ঘোষণা ইউএস-বাংলার

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য মালদ্বীপের রাজধানী মালে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বেসরকারি এয়ারলাইন্স সংস্থাটি।

প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে চারদিন ঢাকা-মালে-ঢাকা রুটে উড়বে এয়ারলাইন্সটি।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

ইউএস-বাংলা জানায়, ভ্রমণপিপাসু বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণকে সাবলীল ও সাশ্রয়ী করতে বাংলাদেশি একমাত্র এয়ারলাইন্স হিসেবে ইউএস-বাংলা মালে রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মালদ্বীপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে মালদ্বীপে বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স হিসেবে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দু’দেশের বন্ধনকে আরও বেশি সুদৃঢ় করবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা থেকে মালে ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ সহ মোট ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।   

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নতুন নতুন গন্তব্য বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মালদ্বীপের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশি পর্যটক ছাড়াও মালদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলে লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে, ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ মনে করছে সে সব যাত্রীর কাছে ঢাকা-মালে রুট অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। 

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই, মাস্কাট ও দোহা। প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেন্নাই এবং চীনের অন্যতম গন্তব্য গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। করোনা মহামারিতে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে কলকাতা ও ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খুব শিগগিরই কলম্বো, জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের।  

আন্তর্জাতিক রুট ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সব রুট বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হতে যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা।

https://www.dhakapost.com/aviation/62749

৫ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাই যাবে ইউএস-বাংলা

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ঢাকা-চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

ইউএস-বাংলা জানায়, ভারতীয় সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্রমণ করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণের পর ভ্রমণকারীদের নিজ খরচে মলিকুলার টেস্ট করাতে হবে। ভ্রমণ ভিসা ব্যতীত সব ভিসায় বর্তমানে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ভারতে যাওয়া যাবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রতি রবি, বুধ ও শুক্রবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে চেন্নাইয়ে অবতরণ করবে। একই দিন দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে চেন্নাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে এবং বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।

সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে চেন্নাইয়ের ওয়ান ওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ১২,৩৯৯ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১৯ হাজার ৮৯৩ টাকা নির্ধারণ করেছে। ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে চেন্নাই রুটের ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে মোট ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৭টি ব্র্যান্ড নিউ এটিআর ৭২-৬০০। চেন্নাই ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে মাস্কাট, দোহা, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে করোনার কারণে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে কলকাতা, ব্যাংকক, দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশালে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে সংস্থাটি।

https://www.dhakapost.com/aviation/58944

৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-চেন্নাই রুটে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু

৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-চেন্নাই রুটে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতীয় সিভিল অ্যাভিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্রমণ করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে এবং চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণের পর ভ্রমণকারীদের নিজ খরচে মলিকুলার টেস্ট করাতে হবে। ভ্রমণ ভিসা ব্যতীত সকল ভিসায় বর্তমানে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ভারতে ভ্রমণ করা যাবে। 

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস প্রতি রোব, বুধ ও শুক্রবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে চেন্নাইয়ে অবতরণ করবে। একই দিন দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে চেন্নাই থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে। 

সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে চেন্নাইয়ের ওয়ান ওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ১২ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ১৯ হাজার ৮৯৩ টাকা নির্ধারণ করেছে। 

 ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে চেন্নাই রুটের ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হবে। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০,৭টি ব্র্যান্ড নিউ এটিআর ৭২-৬০০ সহ মোট চৌদ্দটি এয়ারক্রাফট রয়েছে। চেন্নাই ছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বর্তমানে মাসকাট, দোহা, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। 

বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থাটি অভ্যন্তরীণ রুট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশালে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে কলকাতা, ব্যাংকক, দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। 

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ঢাকা-চেন্নাই রুটের টিকিট রিজার্ভেশন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

https://www.ajkerpatrika.com/29832/%E0%A7%AB